যোগাযোগ করুন

আপনার প্রশ্নের উত্তর পান

একটি বৈধ নাম লিখুন
একটি বৈধ নম্বর লিখুন
একটি বৈধ পিনকোড লিখুন
একটি বৈধ বিভাগ নির্বাচন করুন
একটি বৈধ উপ বিভাগ লিখুন

এই ফর্ম জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি যোগাযোগ করার জন্য আল্ট্রাটেক সিমেন্টকে অনুমোদন দিচ্ছেন।

আরও এগিয়ে যেতে দয়া করে এই বক্সটি পরীক্ষা করুন৷

আপনার বাড়িটি চমৎকারভাবে রঙ করার জন্য কৌশল ও টিপস

যদিও এটি সব শেষে করণীয় বিষয়গুলির অন্যতম, বাড়ি রঙ করা সামগ্রিক হোম মেকওভার প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ। এই বাড়ি রঙ করার টিপস আপনার বাড়ি দক্ষতার সাথে রঙ করার একটি গাইড৷

আপনি যদি এমন একজন হন যাঁর সম্পত্তি কে নতুন রূপ দেওয়ার পথে সিমেন্ট থেকে কংক্রিটের কম্প্রেসিভ শক্তি পর্যন্ত সব বিষয়ে গভীর আগ্রহ আছে, এবং ভালোবেসে বাড়ি রঙও করতে চান, তাহলে আমরা আপনাকে বাড়ি রঙ করার বিষয়ে কিছু দারুণ টিপস দিচ্ছি যা নিশ্চিত করবে যে আপনার হাতে সঠিক রঙ আসবে এবং আপনার রঙ আরো বেশিদিন ধরে টিঁকবে। এই বাড়ি রঙ করার গাইড বাড়ি রঙ করার টিপস থেকে শুরু করে দেয়াল রঙ করার কৌশল বিষয়ে সব কিছুর প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করে। আসুন শুরু করা যাক!
 

দীর্ঘস্থায়ী রঙের জন্য বাড়ি রঙ করার গাইড

Home Painting Tips

 

  • 1. আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখা এবং দেয়ালের আর্দ্রতা পরীক্ষা করা :
    আপনি যখন এই ব্যাপারে একটি টাইমলাইন সেট করেন এবং আপনার বাড়ি মেকওভার করার পরিকল্পনা করেন, তখন বাড়ি রঙ করার জন্য যথেষ্ট সময় হাতে রাখুন বিশেষ করে আপনি যদি প্রথমবার নিজের হাতে বাড়ি রঙ করেন। তাছাড়া, রঙ করার জন্য আপনার দেশের গ্রীষ্ম বা শীত কাল বেছে নিন কারণ বর্ষাকালে রঙ সহজে শুকোয় না। আপনার দেয়াল রঙ করার জন্য গ্রীষ্মকালই সেরা সময় ।

    ময়েশ্চার মিটার হল দেয়ালের আর্দ্রতা পরিমাপ করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি ডিভাইস।

    এটি কংক্রিটের মেঝে, দেয়াল এবং ছাদে আটকে থাকা আর্দ্রতা চিহ্নিত করতে পারে, যা ফুটো ছাদ, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ, বৃষ্টির জল বা আন্ডারগ্রাউন্ড সিপেজ এর কারণে হতে পারে। ময়েশ্চার মিটারের বৈজ্ঞানিক এবং সঠিক নির্ণয় ক্ষমতা আপনাকে আর্দ্রতাজনিত ক্ষতির মূল্যায়ন করতে সাহায্য করবে, যাতে আপনি রঙ করার আগে বাড়ির দেয়াল এবং ছাদে জলরোধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেন।
     
  • 2. রঙ করার আগে পৃষ্ঠতল পরিষ্কার :
    আপনি চাইবেন না যে দেয়াল রঙ করার আগে পৃষ্ঠতল নোংরা থাকুক । যদি আপনার দেয়ালে কোনো ধূলিকণা/মাকড়সার জাল থাকে, তাহলে রঙ করার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সেগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে ভাল। আপনি যদি পৃষ্ঠতলের উপর কিছু দেখতে নাও পান, তাহলেও রঙ করার সময় কোনো বাধা এড়াতে এটি মুছে নেওয়া সবচেয়ে ভাল।

  • 3. প্রিমিয়াম-মানের সরঞ্জাম এবং রঙে বিনিয়োগ করুন :
    টেঁকসই রঙের জন্য পেন্টিং টিপসে চোখ বোলানোর ধারণাটি এই জন্যই গড়ে উঠেছে যাতে এটি নিশ্চিত করা যায় যে আপনাকে সবসময় আবার নতুন করে সবকিছু করতে না হয় । এর জন্য আপনাকে উচ্চ মানের রঙের পাশাপাশি ব্রাশ, রোলার কভার এবং পেন্টারস টেপের মতো পেন্টিং সরঞ্জামগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে। ভাল ব্রাশ এবং রোলার কভারগুলি ভাল কভারেজ দেয় যাতে আপনি আবার রঙ লাগাবার জন্য রঙ এবং সময় নষ্ট না করেন, এবং একটি ভাল পেন্টারস টেপের সাহায্যে গড়িয়ে পড়া এবং ঝাপসা রঙ সিল করতে পারেন ।

  • 4. প্রাইমার বাদ দেবেন না :
    আপনি যদি নতুন ড্রাইওয়াল রঙ করেন, তাহলে ত্রুটি ঢাকতে একটি জল-ভিত্তিক প্রাইমার ব্যবহার করুন এবং রঙ লাগাবার আগে ভিতটি সমান করে নিন। আপনি যদি প্যানেলিং, জল-ক্ষতিগ্রস্ত, বা ধোঁয়ার কালি মাখা দেয়াল রঙ করেন, তাহলে তেল-ভিত্তিক প্রাইমার বেছে নিন।

  •  5. একটি বড় বালতিতে রঙের বেশ কয়েকটি ক্যান মেশান যাতে সমস্ত জায়গা জুড়ে সমান রঙ থাকে :
    পেন্টের রঙে, ক্যান অনুযায়ী সামান্য ফারাক থাকতে পারে, তাই কোনও অসঙ্গতি দূর করতে, একটি বড় বালতিতে ক্যানগুলি মিশিয়ে সেখান থেকে পেন্টটি ব্যবহার করা ভাল। রঙ করতে কতটা পেন্ট প্রয়োজন তা আগে থেকে অনুমান করে নিয়ে সেইমত এগোনোই সবসময় বাঞ্ছনীয় এবং এই প্রক্রিয়াটি 'বক্সিং' নামে পরিচিত।

  • 6. প্রলেপের চিহ্ন এড়িয়ে চলুন :
    ইতিমধ্যেই শুকোতে শুরু হওয়া রঙের উপরে রোলার ঘোরাবার কারণে হওয়া ডোরাকাটা চিহ্নগুলি এড়াতে, দেয়ালের পুরো উচ্চতা রঙ করে একটি ভেজা প্রান্ত রাখুন এবং তারপরে সামান্য একটু এগিয়ে যান যাতে আপনি শেষ ব্রাশের প্রলেপটি পরেরটির সাথে ওভারল্যাপ করতে পারেন।

  • 7. প্রথমে ট্রিম রঙ করুন :
    পেশাদাররা সাধারণত একটি ক্রম অনুসরণ করেন। তারা প্রথমে ট্রিম, তারপর সিলিং এবং তারপর দেয়াল রঙ করেন। এর কারণ হল দেয়াল টেপ করার চেয়ে ট্রিম সহজে এবং তাড়াতাড়ি রঙ করা যায়। ট্রিম রঙ করার সময়, এটি নিখুঁত হোক তা আপনি চান না, আপনি শুধু কাঠে একটি মসৃণ ফিনিশ চান।

  • 8. একটি মসৃণ ফিনিশের জন্য কোটগুলির মধ্যে স্যান্ড ট্রিম :
    এক কোট রঙ সম্ভবত ট্রিমের মূল রঙ এবং উজ্জ্বলতা আড়াল করবে না। এবং যদি আপনি কোটগুলির মধ্যে পৃষ্ঠতলে বালি না দেন তবে ফিনিশে একটি দানার মত টেক্সচার হতে পারে। একটি মসৃণ ফিনিশের জন্য, রঙের প্রতিটি কোট লাগাবার আগে ট্রিমটিতে বালি দিন।

যদি এই সমস্ত পেন্টিং টিপস আপনাকে সম্পূর্ণ রঙ করার প্রক্রিয়াটি নিজে হাতে করতে অনুপ্রাণিত করে, তাহলে শুরু করার আগে আমরা আপনাকে এই নিবন্ধটি পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি :
https://www.ultratechcement.com/home-building-explained-single/how-to-choose-the-right-exterior-paint-colours-for-your-home

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

1. আপনি কি পুরানো রঙের উপর সরাসরি রঙ করতে পারেন ?

পুরানো রঙ এবং নতুন রঙ রাসায়নিকভাবে একই হলে আপনার সম্ভবত প্রাইমারের প্রয়োজন নেই (উদাহরণস্বরূপ, তেল-ভিত্তিক)। যদি বর্তমান দেয়ালটি মসৃণ এবং পরিষ্কার হয়, তাহলে আপনি সরাসরি পুরানো রঙের উপর নতুন রঙ ব্যবহার করতে পারেন।

2. ন্যুনতম কতগুলি রঙের কোট আপনার লাগানো উচিত ?

চলতি নিয়ম অনুযায়ী অন্তত দুই কোট রঙ লাগানো উচিত। তবে, দেয়ালের উপাদান এবং আগের রঙ, দুটিই এই সংখ্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, অসমাপ্ত ড্রাইওয়ালের ক্ষেত্রে, আপনার প্রাইমারের কোট বা আন্ডারকোট পেন্টেরও প্রয়োজন হবে।

3. রঙ করার আগে আপনি যদি আপনার দেয়ালে প্রাইমার না লাগান তাহলে কি হবে ?

আপনি যদি প্রাইমার বাদ দেন, তাহলে আপনার রঙের মামড়ি খসে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিশেষ করে আর্দ্র আবহাওয়ায়। তাছাড়াও, শুকোনোর কয়েক মাস পরে, আঁটকে না থাকার ফলে পরিষ্কার করা আরও কঠিন করে তুলতে পারে। আপনি ময়লা বা আঙুলের ছাপ তোলার চেষ্টা করার সময় রঙ উঠে যেতে পারে।