যোগাযোগ করুন

আপনার প্রশ্নের উত্তর পান

একটি বৈধ নাম লিখুন
একটি বৈধ নম্বর লিখুন
একটি বৈধ পিনকোড লিখুন
একটি বৈধ বিভাগ নির্বাচন করুন
একটি বৈধ উপ বিভাগ লিখুন

এই ফর্ম জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি যোগাযোগ করার জন্য আল্ট্রাটেক সিমেন্টকে অনুমোদন দিচ্ছেন।

আরও এগিয়ে যেতে দয়া করে এই বক্সটি পরীক্ষা করুন৷

আপনার বাড়ির ইতিবাচক শক্তি বুস্ট করার 6 টি উপায়

বাস্তুশাস্ত্র একটি সংস্কৃত শব্দ যা 'স্থাপত্য বিজ্ঞান' কে বোঝায়। এর মধ্যে স্থান, বিন্যাস, লেআউট, মাপজোক ইত্যাদির মতো সমস্ত ধরণের স্থাপত্য এবং নকশার ধারণা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একটি বাড়ির বাস্তু সেটিতে ইতিবাচক শক্তি আনতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠাকুর ঘরের বাস্তু

ঠাকুর ঘরের বাস্তু আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি পুরো বাড়ির পরিবেশ এবং বাস্তু নির্ধারণ করে। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন যে একটি বাড়ির ঠাকুর ঘর সেই বাড়ির ইতিবাচক শক্তি এবং কম্পনের কেন্দ্র। এবং সেই কারণেই আপনার বাড়ি তৈরি করার সময় ঠাকুর ঘরের বাস্তুর বিষয়টি সবসময় আপনার মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 

ঠাকুর ঘরের বাস্তু কতটা গুরুত্বপূর্ণ 

ঠাকুর ঘর একটি বাড়িতে ইতিবাচক এবং নির্মল শক্তির ভরকেন্দ্র হিসাবে কাজ করে যেহেতু এটি আপনার বাড়িতে দেবতাদের উপস্থিতির কারণে ঐশ্বরিক শক্তি বিকিরণ করে। সম্পূর্ণরূপে দেবতাদের জন্য একটি পৃথক স্থান বরাদ্দ করা অর্থাৎ একটি ঠাকুর ঘর করা, তা সে যতই বড় বা ছোট হোক না কেন, আপনার বাড়ির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক বাস্তু, শান্তিপূর্ণ, ইতিবাচক শক্তি আনতে এবং আপনার বাড়িতে কি ধরনের শক্তির বিকিরণ হবে তা নির্ধারণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঠাকুর ঘর শুধুমাত্র বাড়িতে ভাল অনুভূতি বিকিরণ করতে সাহায্যই করে না বরং আপনাকে ঐশ্বরিক শক্তির সাথে সংযুক্ত করতেও সাহায্য করে। নেতিবাচক শক্তি দূর করতে এবং আপনার ঘরকে সুখ এবং ইতিবাচক শক্তিতে পূর্ণ করতে বাস্তু নিখুঁত হওয়া উচিত।

ঠাকুর ঘরের জন্য বাস্তু টিপস

বাস্তুশাস্ত্রের তত্ত্ব অনুসারে ঠাকুর ঘরের ক্ষেত্রে সঠিক বাস্তু সহ আপনার বাড়িকে ইতিবাচক এবং ঐশ্বরিক শক্তির কেন্দ্রে পরিণত করতে সাহায্য করার জন্য নীচে কিছু টিপস দেওয়া হল :

  • 1. ঠাকুর ঘরের অবস্থান :

  •  
    • উত্তর-পূর্ব দিকটিকে ঠাকুর ঘরের জন্য সবচেয়ে ভালো দিক বলে মনে করা হয় কারণ এই দিকটি ভগবান শিবের অঞ্চল এবং তাই, সবচেয়ে শুভ হিসাবে বিবেচিত। এর পরেই আসে হয় পূর্ব বা উত্তর দিক। দক্ষিণ দিকে মুখ করা ঠাকুর ঘরের বাস্তু অশুভ বলে মনে করা হয়।
    • আপনার ঠাকুর ঘরটির অবস্থান সিঁড়ির নিচে বা স্নানঘরের কাছে করার থেকে বিরত থাকুন কারণ এই স্থানগুলি ঠাকুর ঘরের জন্য অশুভ বলে বিবেচিত।
    • বাস্তু অনুসারে, ঘরের জন্য একতলা বা উঁচু তলা কে সেরা স্থান হিসাবে মনে করা হয়না বলে নিশ্চিত করুন যাতে ঠাকুর ঘরটির অবস্থান এইসব জায়গায় না হয় ৷
    • ঠাকুর ঘরের দরজা-জানালা উত্তর বা পূর্ব দিকে খোলা উচিত।
    • ঠাকুর ঘরের বাস্তু অনুসারে, ঠাকুর ঘরে, ইতিবাচক কম্পনের জন্য একটি পিরামিড আকৃতির সিলিং সুপারিশ করা হয়।
    • পূর্বমুখী বাড়ির ক্ষেত্রে, ঠাকুর ঘরের বাস্তুর সুপারিশ অনুসারে ঠাকুর ঘরটি হয় উত্তর বা পূর্ব কোণে হওয়া উচিত।
Pooja room direction according to Vastu Shastra
  • 2. মূর্তি বা দেবতা স্থাপন :

    • ঠাকুর ঘরের বাস্তু অনুসারে, ঠাকুর ঘরে রাখা মূর্তি একে অপরের মুখোমুখি হওয়া উচিত নয় এবং দেয়ালের কাছাকাছি হওয়া উচিত নয়।
    • মূর্তিগুলি উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত।
    • সমস্ত মূর্তি যাতে একই দিকে মুখ করে থাকে এবং দরজার দিকে মুখ না করে, সেটি নিশ্চিত করুন ৷
    • মূর্তিগুলির চারপাশে যাতে পর্যাপ্ত হওয়া চলাচল করতে পারে তার জন্য মূর্তিগুলি যেন দেওয়াল ঘেঁষে না রাখা হয়।
    • ঠাকুর ঘরের বাস্তু টিপস এর সুপারিশ অনুসারে, প্রতিমাগুলি মাটি থেকে কমপক্ষে 6 ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে।
    • ঘরে মৃত ব্যক্তির ছবি বা হিংস্র ছবি রাখা থেকে বিরত থাকুন।
    • মূর্তিগুলির গঠনে যেন কোনো চিড় না থাকে বা ভাঙ্গা না হয় সেটি নিশ্চিত করুন ৷
    • প্রদীপের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত।
Vastu Shastra Tips for Puja Room
  • 3. পবিত্র বস্তু স্থাপন :

    • ঠাকুর ঘরে পবিত্র সামগ্রী এবং অন্যান্য ঠাকুর ঘরের সামগ্রী জড়ো করা ছাড়া অন্য কোনো কিছু জমা করার উদ্দেশ্যে ঠাকুর ঘর ব্যবহার করা যাবে না। ঘর যেন নোংরা না থাকে ৷
    • মূর্তির উপরে কোন জিনিস রাখা উচিত নয়।
    • প্রদীপ ও অগ্নিকুণ্ড দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখতে হবে।
  • 4. ঠাকুর ঘরে ক্যাবিনেট রাখা :

    • ঠাকুর ঘরের বাস্তু অনুসারে, সূর্যের আলো যাতে আটকে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য ঠাকুর ঘরের কোনো ক্যাবিনেট দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা উচিত।
    • আপনি একটি পিরামিড আকৃতির টাওয়ার বা পুজোর সামগ্রী জড়ো করার জন্য ক্যাবিনেট তৈরি করতে পারেন কারণ এটি ইতিবাচক কম্পন বিকিরণ করে।
    • ঠাকুর ঘরের বাস্তু অনুসারে, ঠাকুর ঘরে মূর্তির উপরে ক্যাবিনেট তৈরি করা উচিত নয়।
  • 5. ঠাকুর ঘরের রঙ :

    • এই ঘরের জন্য হালকা রঙ সেরা কারণ এগুলি ইতিবাচক কম্পন বিকিরণ করে এবং উপাসনা ও প্রার্থনা করার জন্য আদর্শ।
    • ঠাকুর ঘরের জন্য ক্রিম রঙই হল আদর্শ রঙ।
    • হালকা নীল, সাদা এবং হালকা হলুদের মতো রং একটি শান্ত ধ্যান করার পরিবেশ তৈরি করে।
    • উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ঠাকুর ঘরের জন্য, সাদাই হল আদর্শ রঙ।
  • 6. ঠাকুর ঘরের আলো :

    • দিনের বেলা ঘরটি ভালভাবে আলোকিত রাখার জন্য ঠাকুর ঘরে অন্তত একটি জানালা থাকা জরুরী। ঠাকুর ঘরের বাস্তু অনুসারে, এর ফলে সূর্যের ইতিবাচক শক্তি এবং কম্পন অবাধে প্রবাহিত হয়।
    • সূর্যাস্তের পরেও ঘরটি যাতে ভালভাবে আলোকিত থাকে তা নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্তভাবে আলোকিত করতে ঠাকুর ঘরে একটি আলো বা একটি বাতি রাখুন।

ঠাকুর ঘর, একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান এবং এটিকে বাস্তু তত্ত্ব অনুসারে স্থাপন করা হলে নিশ্চিতভাবে বাড়িটি সুখে ভরা থাকে।

আপনার বাড়ির প্রধান দরজার সঠিক অবস্থানের মাধ্যমে আপনার বাড়িতে যে শক্তি প্রবেশ করে তা নিয়ন্ত্রণ করুন এবং আপনার বাড়িকে নেতিবাচক শক্তির হাত থেকে রক্ষা করুন।